1. info@www.anusandhanibarta.com : অনুসন্ধানী বার্তা : MD AZIZUL HAQ FAHIM
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আস্থাভাজন পরিচালক ডা: হেলিশের পাঠার বলি কিশোরগঞ্জবাসী “সরকারি নিয়মে অনলাইনে টেন্ডার পদ্ধতি থাকলেও তা এড়িয়ে চলে নিজ স্বার্থে” কালের নতুন সংবাদ এ-র ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত নান্দাইলে ইন্নী হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন মহানবী সা. এর ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ ইসলামের প্রথম সম্মুখ যুদ্ধ কিশোরগঞ্জে বদর দিবস পালিত এডাব কিশোরগঞ্জ জেলার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৫ উদযাপন তাকওয়া অর্জন ও গুনাহ মোচনের মাস রমজান এনভাইরনমেন্টাল সাইন্স ক্লাব ও পাঠাগার, কিশোরগঞ্জের উদ্যোগে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫ উদযাপন পাকুন্দিয়ায় স্প্রে- মেরে হত্যা চেষ্টা ও লুটপাটের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন শিয়ালে কামড় দেওয়ার প্রায় ১ মাস পর মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

বিজ্ঞাপন দিন

পরীক্ষামূলক সম্প্রচার

হাওরের তিন উপজেলায় প্রায় ১যুগ ধরে চলেনা এক ও দুই টাকার কয়েন, বিপাকে বাহক

স্টাফ রিপোটার :
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২ জুলাই, ২০২৪
  • ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে

এস,এম,নাদিরুজ্জামান আজমল।

কিশোরগঞ্জে হাওর অধ্যুষিত উপজেলা গুলোতে প্রায় একযুগ ধরে অচলের পথে এক টাকা ও দুই টাকার কয়েন। দোকানপাট থেকে শুরু করে পরিবহন ভাড়া- কোনো খানেই নিতে চাচ্ছে না এই কয়েন। এমনকি ফকিররাও নিচ্ছে না ১-২ টাকার কয়েন। ব্যাংকগুলোও কোনো কারণ ছাড়াই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নিতে চাচ্ছে না এসব কয়েন। শুধু তাই নয় ১ ও ২ টাকা মুল্যের কয়েন নিতে অনিহা এই এলাকার ভিক্ষুকদেরও।

আইন অনুযায়ী বিনিময়ের সময় কাগজি নোটের পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত সব মূল্যমানের কয়েন নিতে সবাই বাধ্য। কিন্তু বাস্তবে লেনদেনের সময় ১ ও ২ টাকার কয়েন নিতে কিশোরগঞ্জবাসীর অনীহা। ফলে এসব খুচরা পয়সা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার ব্যবসায়ীসহ সব পর্যায়ের মানুষ। ব্যবসায়ীদের কাছে হাজার টাকার কয়েন পড়ে রয়েছে। রিকশা ভাড়া, মুদি দোকানের কেনাকাটায় কয়েন নিতে অনীহা সবার। ১ টাকার কয়েনে অনেক আগে থেকে অনীহা শুরু হলেও সম্প্রতি ২ টাকার কয়েনও চালানো যাচ্ছে না কোথাও।

কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত উপজেলা অষ্টগ্রাম বড় বাজারের একাধিক মুদি ব্যবসায়ী জানান, দুই টাকার কয়েন নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন তাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কয়েন নিতে বাধ্য হওয়া সম্পর্কে এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, অসংখ্য পণ্য রয়েছে যেগুলো বিক্রি করতে হলে খুচরা টাকার প্রয়োজন, কিন্তু ১ ও ২ টাকার কয়েন কেউ নিতে চান না। তবে কেন কয়েন নিতে সবার এত অনীহা এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি কেউ। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজর নেই বলেই আজ এই অবস্থা।

বিভিন্ন চা-দোকানি জানান, এক কাপ রং চা পাঁচ টাকা ও দুধ চা আট টাকায় বিক্রি হয়। তাই চা পান শেষে সিংহভাগ ক্রেতা মূল্য হিসেবে কয়েন দেন। এ সময় দুই টাকার কয়েন অনেকে দিলেও তা নেওয়া হয় না। কারণ এই কয়েন কিশোরগঞ্জে চলে না। এ ছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীরাও দুই টাকার কয়েন নিতে চান না। সব ধরনের পণ্যের মহাজনরা কয়েন দেখলে অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অনেক সময় মহাজনকে কর্মচারীরা দুই টাকার কয়েন দিলে তা ফেলে দেন।

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম,মিঠামঈন,ইটনার পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘প্রায় একযুগ ধরে এক ও দুই টাকার কয়েন হাওরাঞ্চলে অচল হয়ে গেছে। এখন কেউ নিতে চান না। অসংখ্য ব্যবসায়ীর কাছে বিপুল পরিমাণ কয়েন জমে আছে। ব্যাবসায়ীদের অভিযোগ এক ও দুই টাকার কয়েনগুলো কোনও ব্যাংকও নিতে চাচ্ছে না।’

এ ব্যাপারে
জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংকের অষ্টগ্রাম  শাখার ম্যানেজার সুমন কুমার দে এ প্রতিনিধি কে জানান, এক ও দুই টাকার কয়েন কেন চলে না, এর কারণ তার জানা নেই। এক ও দুই টাকার কয়েন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এখানে জয়েন করার পর এখন পর্যন্ত তেমন কেউ কয়েন নিয়ে আসেনি। আমাদের শাখায় কয়েন নিয়ে কেউ আসলে আমরা তা নিতে বাধ্য। আর কেউ যদি এই কয়েন নিতে না চাই অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন

অনুসন্ধানী বার্তা: কপিরাইট © সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং