এম, এ কাশেম,

বিশেষ প্রতিনিধি (চট্টগ্রাম) :

উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভা বাজারে আওয়ামী মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি’র ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে পাওয়া সংবাদে জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সন্ত্রাসীরা প্রথমে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি’র সদস্য ও বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজির ছোট ভাই ইকবাল হোসেন মিয়াজি কে একা পেয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। মারাত্মক আহতাবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্থান নগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্য রত: চিকিৎসক তার অবস্থা বে-গতিক দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ছাড়া- হামলায় আরো আহত হয়েছেন-বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম লিটন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ জিপসন, উপজেলা ছাত্রদল নেতা মিনহাজ উদ্দিন টিটো, ২ নং হিঙ্গুলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোঃ সোহান, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য পারভেজ, যুবদল কর্মী জিয়া উদ্দিন, ইমাম উদ্দিন ও জয়নাল আবেদিন, ঝুমন, বাদশা, রিয়াজ ও নোমান সহ প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী।
এবং ঘটনাস্থল এলাকার দু’মহিলা মনোয়ারা বেগম ও রাইমা আক্তার।
এর পর আরেকদল সন্ত্রাসী
বারইয়াহাট পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন লিটন, পৌর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক জসিম উদ্দিন কমিশনার, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল ইসলাম মামুন, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া উদ্দিন বাবলু এবং মনজুর হোসেন সুমনের বাড়ির দরজা–জানালা, কাঁচের গ্লাস, আসবাব পত্র সহ ঘরের সকল সরঞ্জাম ভেঙেচুরে গুঁড়িয়ে দেয়।
পৌরসভা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মাঈন উদ্দিন লিটন অভিযোগ করে জানান, সন্ত্রাসীরা ঘর-বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ও ক্ষান্ত না হয়ে তার বাড়ির দরোজায় রাখা যুবদল কর্মী সুমনের মোটরসাইকেলটি ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় হামলাকারী সন্ত্রাসীরা কিছু নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার সহ বিবিধ: জিনিস লুটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
এই বিষয়ে বিএনপি নেতা মাঈন উদ্দিন লিটন বলেন, প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা যুবদল নেতা জিয়া উদ্দিন বাবলুকে পিটিয়ে আহত করলে ঘটনার সূত্রপাত: হয়। এরপর আবার বিনা কারণে গাড়িচালক জয়নাল আবেদীন (৫৫), বিএনপি’র কর্মী ইমাম উদ্দিন (৩০), মনজুর হোসেন সুমন (৩২), আমার বৃদ্ধ চাচী মনোয়ারা বেগম (৬০) ও অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূ রাইসা আক্তারকে (৩০) আঘাত করে গুরুতর: আহত করে। ওরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ঘটনার পর রাত ১টা নাগাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মীরসরাই উপজেলায় দায়িত্ব রত:সেনাবাহিনীর টিম ও স্থানীয় জোরারগঞ্জ জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপি’র আহবায়ক দারুল আলম মিয়াজী বলেন, আমার ছোট ভাই ইকবাল হোসেন মিয়াজী (৩৮) ও আমার উপর হামলার চালায় সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, ওরা আমার ভাইকে এতো বেশি জখম করেছে যে, সে এখন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।